উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাশেম এবং সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ বরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তাই দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগ ও দীঘিনালা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
এর আগে কমিটি ঘোষণার পর খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-সাজেক সড়ক অবরোধ করে পর্যটকদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পরেন সাজেকগামি পর্যটকরা।
পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশি পাহাড়ায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
এ ঘটনায় দীঘিনালা ছাত্রলীগের অপু চৌধুরী, বাবলু চৌধুরী ও আমানুর রহমান শান্ত নামের তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধায় উপজেলা শাখা ছাত্রলীগ এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। এর পর থেকেই উভয় সংগঠনের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে এবং রবিবার সড়ক অবরোধের ডাক দেন। এদিন সকালে দীঘিনালা বাস টার্মিনাল এবং কলেজ মোড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে বিক্ষুদ্ধরা।
জিপ মালিক সমিতির লাইনম্যান মোজাফর হোসেন জানান, সড়ক অবরোধকারীদের ইট পাটকেলের আঘাতে দুটি জিপ, দুটি পিকআপ এবং একটি মাইক্রোবাসের কাঁচ ভেঙে গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং উপজেলা ছাত্রলীগের দীঘিনালা উপজেলা শাখার সাবেক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবলু কুমার দে জানান, ‘হঠাৎ করে জেলা কমিটি উপজেলা শাখার কাউকে না জানিয়ে অছাত্র এবং বিবাহিতদের দিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করায় ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।